ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

৫ দিন ধরে অন্ধকারে খুটাখালীর ৩ হাজার গ্রাহক

momসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও :::

বিদ্যুত দেওয়া দুরে থাক, ৪৮ ঘন্টায় বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুতের কারিগরি দল। এই কারণে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩ হাজার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়ো বাতাসের পর থেকে এই এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুতের দেখা পাননি। কবে নাগাদ বিদ্যুত চালু হবে তার কোন নিশ্চয়তাও নেই।

বিদ্যুতের ভোগান্তি নিয়ে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক জসিম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়ো বাতাসের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুতের আর দেখা মিলেনি। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল চার্জ পর্যন্ত দিতে না পারায় আমরা প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছি।

আরেক গ্রাহক মজিদ বলেন, বিদ্যুৎ না দিতে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগের শেষ নেই। গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সংকটের অজুহাত, শীতে ট্রন্সফরমার নষ্ট হওয়া, বর্ষায় তাঁর ছিড়ে যাওয়া, ঝড়ো বাতাসে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার অজুহাত শুনতে শুনতে আমরা বিরক্ত হয়ে পড়েছি। সামান্য ঝড়ো বাতাসে দুদিন ধরে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছি ।

জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতের চকরিয়া জোনাল অফিসের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক হামিদুল হাসান বলেন, ঝড়ো বাতাসে একাধিক স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে লাইন মেরামতের কাজে নেমে পড়ি। সবগুলো লাইন চালু সম্ভব হলেও চার নম্বর লাইনটির ত্রুটি এখনো আমরা খুঁজে বের করতে পারিনি। তবে কারিগরি টিম চেষ্টা চালাচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত ২ মাস ধরে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৫ ঘন্টা বিদ্যুত পাচ্ছেন। সেই কাঙ্খিত বিদ্যুতের দেখা মিলে শুধু ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত। বাকি সময়টা কখনো পাঁচ মিনিট কখনো ২০ মিনিট। বিদ্যুত এসে সেটি এক ঝলক পর আবার চলে যাচ্ছে। এতে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত না পাওয়ায় সেই বিদ্যুত গ্রাহকের কোন কাজে আসছে না। এতে করে এলাকার জনগণ মোমবাতি ও চেরাগ নিয়ে অন্ধকারে থাকছে।

পাঠকের মতামত: